করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধ থাকবে।
আজ শনিবার (২৯ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধ নিয়ে বৈঠকে আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, আরও ১৪ দিনের জন্য বর্ডার বন্ধের মেয়াদ বলবৎ থাকবে।’
বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামুখী বন্দর নিয়ে বাংলাদেশিদের ভারত থেকে ফেরা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই আপাতত সোনামুখী বন্দর নিয়ে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ওই বন্দর দিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ৮৮ জন ফিরেছেন। সবাই ওখানে কঠোর কোয়ারেন্টাইনে আছেন।’
ভারতের করোনার পরিস্থিতির কারণে গত ২৬ এপ্রিল দেশটির সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য সব ধরনের স্থলসীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশ। তবে দেশটিতে আটকাপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম ছিল তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে প্রথম দফায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশের সুবিধা পান বাংলাদেশিরা। পরবর্তীতে অবশ্য দর্শনা, হিলি ও সোনামুখী বন্দর তিনটি দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরার সুযোগ দেয় সরকার।
প্রথম দফায় ভারতের সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য সব ধরনের স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ শেষ হয় গত ৯ মে। দ্বিতীয় দফায় স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়ানো হয়। এরপর তৃতীয় দফায় স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ৮ দিন বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত আছে।