মঙ্গলবার পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে শেহবাজ শরিফ ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এসব মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি একেবারে প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। আগ্রাসনের জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।
দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় শক্তিশালী এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে বলেও জোর দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমপ্লেক্স ও অন্যান্য সংস্থার ওপর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। শেহবাজ বলেছেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পদক্ষেপের বৈধ কোনও কারণ নেই।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেহবাজ বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, এই কর্মসূচি আমার বা কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। এটি দেশের ২৪ কোটি মানুষের। এই কর্মসূচি পাকিস্তানিদের পছন্দের। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনও আপস করা হবে না। পুরো জাতি এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ।’’
এর আগে, গত সপ্তাহে দেশটির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পাকিস্তানি চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, পাকিস্তানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ক্রমবর্ধমান বিস্তারের হুমকির আলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য চারটি সংস্থাকে মনোনীত করছে। গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তারকারী এসব সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিছুদিন আগে পাকিস্তানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সরঞ্জাম ও উপকরণ সরবরাহের অভিযোগে চীনা ও বেলারুশিয়ান কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর। তবে ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে ইসলামাবাদ।