মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় বিকল্পধারার নিজস্ব অফিসে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহী বি বলেন, এই রাজনৈতিক পদক্ষেপের কারণে আমার এবং বিকল্পধারার ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দলীয় নেতৃবৃন্দ ও বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৎকালীন বাস্তবতার বিচারে মহাজোটে শরিক হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
‘পরিবর্তন প্রত্যাশী অনেক তরুণ এবং সংস্কারপন্থি নাগরিকরা দলের, আমার এই পদক্ষেপকে সুবিধাবাদী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছে। ফলে আমার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা এবং দলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।’
আত্মসমালোচনার মাধ্যমে ভুল থেকে বেরিয়ে এসে বিকল্পধারার আদর্শকে সমুন্নত করতে না পারলে বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিকল্পধারা প্রাসঙ্গিকতা হারাবে— বলেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।
মাহি দাবি করেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২০২৪-এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একমাত্র দল, যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা কিংবা সমঝোতার চেষ্টা করেনি। (যদিও সেই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, বিকল্পধারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার চেষ্টা করে সফল হয়নি)। যে কারণে ২০১৮ সালের একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচনে অসম্মানজনক বিজয়ের চাইতে ২০২৪ সালের পরাজয় আমাদের কাছে অধিকতর সম্মানজনক ছিল।
মৃত্যুর ৩ সপ্তাহ পূর্বে ১৬ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক বি. চৌধুরী ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল বলে জানিয়ে মাহী বলেন, তার নির্দেশনা ছিল- প্রজন্ম পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতি ২০ বছর অন্তর গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংশোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বিকল্পধারার দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।
৩টি দর্শনের ভিত্তিতে বিকল্পধারা পরিচালিত হবে। ১ম দর্শন হবে- আধ্যাত্মিকতা/ রুহানিয়াত হবে বিকল্পধারার দর্শনের মূলভিত্তি। স্রষ্টা ও সৃষ্টির সাথে সংযোগ স্থাপন এবং অহংকার থেকে মুক্তি অর্জনের চেষ্টার মাধ্যমে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে।
২য় দর্শন হবে- প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে ও চূড়ান্ত গন্তব্য হবে সামষ্টিক জাতীয় সুখ। রাজপথে ন্যূনতম দৃশ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলবে বিকল্পধারা।