তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে কোনো দল হিন্দুদের মন্দির, বাড়ি-ঘর পাহারা দেয়নি। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী আমাদের বাড়িঘর পাহারা দিয়েছে। ৫ আগস্টের আগে আমাদের ধর্মীয় উৎসবে পুলিশের পাহারার প্রয়োজন ছিল। পুলিশী পাহারায় আমাদের ধর্মীয় উৎসব করতে হয়েছে। কিন্তু এ বছর আমাদের উৎসবে নিরাপত্তার জন্য কোনো পুলিশের প্রয়োজন হয়নি। আমরা নিরাপদে উৎসব করেছি।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে শুরু হওয়া জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
প্রধান অতিথি মঞ্চে আসন গ্রহণের পূর্বে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বক্তব্য রাখেন পুরোহিত মিলন ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। শফিকুর রহমান এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে থাকবে।
পরে ইসকন নেতার কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনাও করেন এই হিন্দু নেতা।
দীর্ঘ দেড়যুগ পর প্রকাশ্যে বড় রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করছে গাইবান্ধা জেলা জামায়াত। ২০০২ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা শহীদ দেলওয়ার হোসেন সাঈদী এই মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বক্তব্য রাখেন। এরপর এই মাঠে আর কোনো সমাবেশ করতে পারেনি জামায়াত। ফলে এবারের সমাবেশকে ঘিরে সারা জেলায় জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।