তিনি বলেছেন, বিষয়টি সরকার জানলে তাকে গ্রেফতার করত।
৫ আগস্টের পর থেকে দেশেই অবস্থান করছিলেন নানান সময়ে বিতর্কিত ও সমালোচিত সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিন মাস আত্মগোপনে থাকার পর গত ৮ নভেম্বর তিনি সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পারি দেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর রাজশাহীর বিজিবি সদর দফতর পরিদর্শনের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের খোঁজ দিতে পারলে সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সে সময় সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। কিন্তু আপনারা তো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন। যদি আমাকে ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন তা জানাতে পারেন, আমি আপনাদের একটি পুরস্কার দেবো। আপনারা আমাদের অনেক তথ্য দিতে পারেন।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ইন্টারপোলকে আবারো সহায়তার কথা জানানো হয়েছে।’
পুলিশের পুরোদমে কাজে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশের মনোবল আগে থেকে বেড়েছে। তবে সময় লাগবে পুরোদমে কাজ শুরু করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের যারা পালিয়ে আছেন তারা আমাদের কাছে অপরাধী, তাদের পাওয়া গেলেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে।
তদন্ত কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রাখা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা বেশি হবে বলে জানান তিনি।
‘তবে পুনঃ-তদন্তের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত না। এ আদেশ দেয়ার এখতিয়ার আদালতের’—উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীর আলম।