তবে সম্প্রতি কাদেরের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে এবং তার হোয়াটসঅ্যাপও ছিল অচল। আওয়ামী লীগের বিরোধী নেতারা জানিয়েছেন, তারা একেবারে নিশ্চিত যে কাদের কলকাতায় আছেন এবং সেখানেই তিনি নিজেকে গোপন রেখেছেন।
এছাড়া, ওবায়দুল কাদের সরকারের পতনের সময় একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, বিশেষ করে ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন মোকাবিলায় ছাত্রলীগই যথেষ্ট’—এই মন্তব্যের পর তিনি আওয়ামী লীগের ভেতর কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এর পর থেকেই তিনি দলীয় কর্মকাণ্ডে একেবারে গুটিয়ে যান। ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো অনুষ্ঠানে হাজির থাকতেন, কিন্তু পরে তিনি একেবারে লুকিয়ে যেতে শুরু করেন। সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্ব চলে যায় দলের অন্য নেতাদের কাছে।
কাদের তার দলের নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন। ফোন ধরতেন না, নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এমনকি, বিএনপির উদ্দেশে তার ‘খেলা হবে’ মন্তব্যের পর, সেই ‘খেলা’ এখন তার পেছনে ছুটছে, এবং তিনি নিজেই এখন ‘নিখোঁজ’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাদেরের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ট্রল চলত। তার দামি ঘড়ি, কোট-টাই ব্যবহার এবং অদ্ভুত মন্তব্যের কারণে তিনি বারবার হাস্যরসের পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। তবে তার ‘পালাব না’ মন্তব্য এখন একটা মজার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এখন তিনি নিজেই পালিয়ে আছেন। তার নিজেই দেওয়া ‘পালাব না, কোথায় পালাব?’— এই বক্তব্য এখন তার নিজের জন্যই হাস্যকর হয়ে উঠেছে, কারণ এখন তিনি কোথায় আছেন, তা কেউ জানে না, এবং তিনি নিজেই এখন রহস্যে পরিণত হয়েছেন।