তিনি আরও বলেন, কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে এটি স্বাধীন ও কার্যকরভাবে তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে। একইসঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিদ্যমান ভোটার তালিকায় কিছু অসংগতি রয়েছে। জনসংখ্যার বিবেচনায় ভোটার তালিকায় নারী ভোটারের সংখ্যা কমে গেছে। তালিকা সঠিক না হলে নির্বাচন ব্যাহত হবে। ভোটার তালিকা সংশোধন, জনগণের অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, নির্বাচনী আচরণবিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন, নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে সবার পরামর্শ ও মতামত জানা একান্তভাবে দরকার।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী অপরাধের সুযোগ বন্ধ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে পদ্ধতিগত অসংগতি থাকলে সেগুলোর পরিবর্তন করা আবশ্যক। বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত ছিল। সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সংবিধান অনুযায়ী তাদের নিরপেক্ষতার শপথ ভঙ্গ করেছেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন, সদস্য সাদিক আরমান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, আইন বিভাগ (লেজিসলেটিভ) ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবুর রহমান, খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) এম এম শাকিলুজ্জামান প্রমুখ।
সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, নারী প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তি, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, রাজনীতিবিদ, জেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।