রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আরও ৭ জেলায় ১৩ ব্যক্তির শরীরে মিলেছে এই ভয়ংকর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বি-১৬১৭। এর মধ্যে ৭ জনই আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের। শুক্রবার (২৮ মে) রাতে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সেখানে জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য আপলোড করেছে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর, আইদেশী এবং আইসিডিডিআর-বি। জিআইএসএআইডি’র তথ্য থেকে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া অন্য জেলাগুলো হচ্ছে-চুয়াডাঙ্গা, গাইবান্ধা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, পিরোজপুর এবং খুলনা। এদের নমুনা গত ১৩ মে থেকে ২২ মে এর মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এর ২০ জনের তথ্য সেখানে জমা দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে ভারতে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণেই ভারতে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। ভারতের পর এই ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ব্রিটেনে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে করোনার ভারতীয় ধরনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ডব্লিউএইচও। এর আগে ডব্লিউএইচও দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলের ধরনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে বলে গত ৮ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন।