নাগেশ্বরীতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে কর্মসংস্থান ব্যাংক ব্যবস্থাপককে গত বৃহস্পতিবার দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে ঐদিন বিকালে পুলিশের মধ্যস্থতায় রবিবার ঐ কর্মকর্তা ঘুষের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়, তুলে নেওয়া হয় অবরোধ।
জানা যায়, বেকারদের অর্থসহায়তা দিয়ে ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়িক ঋণ কর্মসূচি চালু করলেও নাগেশ্বরী শাখায় এ সহায়তা পেতে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দিতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, সিনিয়র অফিসার তৌফিককে দিয়ে এ ঘুষ গ্রহণ করেন ব্যাংক ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান। কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন তালবাহানায় তাদের ঋণ দেওয়া হয় না। এমনকি ঘুষ ও জমির দলিল নিয়ে অনেককে দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে ঋণ না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মোটা অঙ্কের ঘুষ ও জমির দলিল দিয়েও ঋণ পাননি, এমন চার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়িক ও শিল্পোদ্যোক্তা বলদিয়ার ফরিদুল ইসলাম, শামিমা নাসরিন, কামারপাড়ার মাসুদ রানা ও আমিনুল ইসলাম।
তারা জানান, সিনিয়র অফিসার তৌফিক তাদের ঋণ দেওয়ার কথা বলে ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের দোহাই দিয়ে তাদের কাছ থেকে সর্বমোট ৯৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। পরে ঋণ না দিয়ে তাদের দিনের পর দিন ঘোরানো হয়। ব্যাংকে গিয়েও বেশির ভাগ সময় দেখা মেলে না সিনিয়র অফিসার তৌফিকের। ব্যবস্থাপক মিজানুরকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, তৌফিক এলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে তারা সবাই ব্যাংকে গেলে তৌফিককে ব্যবস্থাপক মিজানুর কৌশলে ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে তারা ব্যাংক ব্যবস্থাপকের কাছে তাদের দেওয়া ঘুষের টাকা ও জমির দলিল ফেরত চেয়ে ব্যাংকের বাইরে অবস্থান নেন এবং সারাদিন সেখানে বসে থাকেন। পরে বিকাল ৫টায় এসআই বিনয় চন্দ্রসহ পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান রবিবার সিনিয়র অফিসার তৌফিককে ব্যাংকে উপস্থিত করে ঘুষের টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।