সংস্কার কার্যক্রম শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশনে গণফোরামের ৭ম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
সব সমস্যা সমাধানে জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, সবার মধ্যে যে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে উঠেছে, তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা প্রয়োজন। একইসঙ্গে বিরাজমান সব সমস্যা সমাধানের জন্য গণতন্ত্রমনা সব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও নাগরিক সমাজের মধ্যে জাতীয় সংলাপ জরুরি।
দেশের প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বন্দিদশা থেকে জনগণ নতুন করে মুক্তিলাভ করেছে। ছাত্র-জনতা আবারও প্রমাণ করেছে যে, এই দেশ কোনো স্বৈরশাসকের নয়, এ দেশ জনগণের।
কামাল হোসেন বলেন, জাতীয় ঐক্য না হওয়ার কারণে দেশ ও জাতির অনেক ক্ষতি হয়েছে। আর যাতে দেশ ও জাতির ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বন্দিদশা থেকে জনগণ নতুন করে মুক্তিলাভ করেছে। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এক নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশের জনগণ স্বপ্ন দেখছে এক স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশের। কোনো অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র যেন এই রক্তস্নাত বিজয় ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে; সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।