ডিভোর্স ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী গিটার বাদক মোহিনী দেও বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেন। নেটিজেনরা এই দুই ঘটনাকে একসঙ্গে টেনে রটিয়ে দেয়, রহমান ও মোহিনীর পরকীয়া কাণ্ড!
এই গুঞ্জন নিয়ে রহমান কোনও মন্তব্য না করলেও সম্প্রতি এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ। তবে কি এক হতে চলেছেন এই দম্পতি! ডিভোর্স আইনজীবী হিসেবে বেশ খ্যাতনামা বন্দনা। তিনিই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাটি দেখছেন।
সম্প্রতি ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে রহমানের ডিভোর্স নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বন্দনা বলেন, ‘আমি তো কখনও বলিনি ওদের ভাঙা বিয়ে জোড়া লাগবে না। আমি নিজে ভীষণ ইতিবাচক একজন মানুষ। আর সবসময়ে ভালোবাসা, রোমান্স নিয়ে কথা বলি।’
বন্দনার কথায়, ‘সায়রা-রহমানের যৌথ বিবৃতিতেই তো সবটা পরিষ্কার। যেখানে ওদের কষ্ট এবং বিচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য ওদের, তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরা। কিন্তু আমি তো এর মাঝে কখনও বলিনি যে এ আর রহমান এবং সায়রাবানুর পুনর্মিলন সম্ভব নয়।’
সন্তানদের দায়িত্ব কে নেবেন? সেই বিষয়েও নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছে। এমন কৌতূহলের মাঝেই আইনজীবী জানালেন, ‘সায়রা এবং রহমান কেউ এখনও সেটা ঠিক করেননি। সন্তানরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক। ওরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে মা না বাবার কাছে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গেছে।
বিয়ের এত বছর পর হঠাৎ কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর কিন্তু তা হল না।