গত আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ডক্টর নিয়াজ আহমেদ খান। অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে প্রক্টর, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার এবং দুজন উপ-উপাচার্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিপ্লবোত্তর নতুন নির্দলীয় প্রশাসনের প্রতি অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল শিক্ষার্থীদের। কিন্তু সাড়ে তিন মাসেও জুলাই বিপ্লবসংক্রান্ত কোনো আয়োজন করতে পারেনি ঢাবি প্রশাসন।
উপ-উপাচার্য বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব কর্নার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটা স্থানে গণভবনের যে জাদুঘরটা আছে, সেটার আদলে কোনো একটা কর্নার সৃষ্টি করা। এটার জন্য কমিটি গঠিত হয়েছে। এর প্রধান করা হয়েছে চারুকলা অনুষের আজহারুল ইসলাম শেখকে। এগুলো এখনো খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এখানে ছবি, ভাস্কর্যসহ অন্য কিছুও রাখা হবে কি না এই বিষয়টা দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরবর্তী সময়ে এটি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘রাজাকারের বাচ্চা’সংক্রান্ত বক্তব্যের পর গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনেই এক পর্যায়ে বিদায় হয় ফ্যাসিস্ট সরকারের। এই আন্দোলনের পুরোটাজুড়ে মূল নেতৃত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই দিয়েছেন।