সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান এমন দাবি করেন।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ কোনো দলই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না। নেতারা মিডিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে ভালো কথা বললেও বাস্তবে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সংঘর্ষ বন্ধে কোনো ভূমিকা পালন করছে না। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য থাকলেও তাদের কাছ থেকে কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা দৃশ্যমান নয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জনপ্রশাসন, পুলিশ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের প্রায় সবাই বিএনপি-জামায়াত ও পতিত ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগপন্থী। ফলে জুলাই গণহত্যা পরবর্তী সন্ধিক্ষণে রাজনৈতিক নেতাদের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তা ও কোনো সংস্কার ছাড়া তড়িঘড়ি নির্বাচন আদায়ের তৎপরতার সঙ্গে দলীয় অনুগত কর্মকর্তাদের নিস্পৃহতার যোগসাজশ রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।’
এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি দায়িত্বশীল নাগরিক ও রাজনীতিকদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানায় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিরাজমান পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরা না-হলে দেশ ক্রমেই আফ্রিকান দেশ লিবিয়ার মতো বিশৃঙ্খল ভূখণ্ডে পরিণত হবে। কাজেই সংঘর্ষ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে নাগরিক ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা ও নির্দেশনা দিতে হবে।’