প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি করা ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম এবং প্রথম স্থানে চীন। তবে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত (১০ বছরে) যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির পরিসংখ্যান বলছে, চীনের পোশাক রফতানি প্রায় অর্ধেকে কমেছে। অন্যদিকে, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ তাদের জায়গা দখল করেছে।
এদিকে, চীনের ২০১৪ সালের পোশাক রফতানি ছিল ২৯.৭৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে কমে ১৬.৩২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক দশকের মধ্যে চীনের পোশাক রফতানি প্রায় ৪৫.২৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
ভিয়েতনামের রফতানি ২০১৪ সালে ছিল ৯.২৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.১৮ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ, গত দশ বছরে ভিয়েতনামের রফতানি বেড়েছে ৫২.৯৬ শতাংশ। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোরও রফতানি বেড়েছে।
ভারতের পোশাক রফতানি ২০১৪ সালে ছিল ৩.৪০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৯ বিলিয়ন ডলারে। পাকিস্তানের রফতানি ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২.০২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কম্বোডিয়ার পোশাক রফতানি ২০১৪ সালে ছিল ২.৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে বেড়ে ৩.৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, অর্থাৎ গত দশ বছরে ৩৩.৯৭ শতাংশ বেড়েছে।
গত দশ বছরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। বাংলাদেশের সাশ্রয়ী উৎপাদন ক্ষমতা, উচ্চমানসম্পন্ন পোশাক এবং দক্ষ শ্রমশক্তি তাকে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। তবে, এ সাফল্য ধরে রাখতে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন, শ্রমিক কল্যাণ এবং নতুন বাজার প্রসারে মনোযোগ দেওয়া জরুরি, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।