এগুলোর বেশিরভাগই আছড়ে পড়েছে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে। তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে হিজবুল্লাহর বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই বিভিন্ন স্থাপনায় গিয়ে আঘাত হানে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
ইসরায়েলি কয়েকটি গণমাধ্যম স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি আহত হয়েছে।
হিজবুল্লাহ রোববার দিনভর বেশ উত্তর ও মধ্য ইসরায়েলে শত শত রকেট এবং ড্রোন নিক্ষেপ করার কারণে তেলআবিবসহ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরের আগুন ধরে যায়।এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি আহত হয়েছে।
উত্তরের বন্দরনগরী হাইফাতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে এবং অন্য আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর আগে রোববার সকালে পশ্চিম গ্যালিলে রকেট হামলায় ৫০ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি নারী আহত হয়েছেন।
হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মা’লোত-তারশিহার একটি কারখানারও ক্ষতি হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আইডিএফ বলেছে, রোববার ভোরবেলা একসঙ্গে ৩০টি রকেট এবং ড্রোন হামলা চালায় হিজবুল্লাহ, এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম বাধা দিতে সক্ষম হয়।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার জবাবে দখলদার দেশটিতে একরাতে ৩৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
এক বিবৃতিতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আশদ নৌঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা। পরে সংগঠনটি আবার জানায়, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে তেল আবিবের একটি ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ মুহুর্মুহু হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া তেল আবিবের উপকণ্ঠে গ্লিলট সেনাবাহিনী গোয়েন্দা ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা।
হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাইলে প্রথমে এ সম্পর্কে এএফপির কাছে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
এর আগে তারা জানায়, তেল আবিবের উপকণ্ঠসহ উত্তর-পূ্র্ব ও মধ্য ইসরায়েলের একাধিক জায়গায় সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। আকাশপথে হামলা হলে এমন সাইরেন বাজানো হয়।
আর শনিবার সারাদিনে ইসরায়েলের হামলায় মোট ৪৮ জন নিহত হওয়ার পরিসংখ্যান জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গতবছর অক্টোবর থেকে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৫৪ জনে।