সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়ানেট নিউজ। খবর আল-মায়াদিনের।এ
এতে বলা হয়েছে, আগামী রোববার হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন সফরে যাবেন গ্যালান্ট।
হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর ইসরায়েলের বাইরে এটি গ্যালান্টের প্রথম সফর।
গত বুধবার আইসিসির বিচারকরা এক রায়ে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জোরপূর্বক খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে গাজায় ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি হত্যা, নিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজ করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা আইসিসির এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আদালতের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসনের অধীনে আইসিসি প্রতিষ্ঠাকারী চুক্তি রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিল, কিন্তু কখনই চুক্তিটিকে অনুমোদন করেনি। আর ২০০২ সালে, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ. বুশের শাসনামলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে রোম সংবিধি থেকে তার স্বাক্ষর প্রত্যাহার করে নেয়।
ইরাক এবং আফগানিস্তানের মতো সংঘাতে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য মার্কিন নাগরিকদের, বিশেষ করে সামরিক কর্মী এবং কর্মকর্তাদের বিচারে আইসিসিকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুদান বা লিবিয়ার মতো নির্দিষ্ট দেশে যুদ্ধাপরাধের তদন্তে সহায়তা করতে কিছু বিষয়ে আইসিসির সাথে জড়িত, তবে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতে যোগ দেয়নি।