রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শপথবাক্য পাঠ করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসির সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয়। তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিষ্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণেযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথারি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নাই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার এন্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবেন তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছেন আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাবো। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- হতে পারে, এমন বিশেষ পরিস্থিতি আমার চাকরি জীবনে অনেক এসেছে, আমি তথ্য মন্ত্রণালয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েল সচিব ছিলাম। জীবনে বহু চ্যালেঞ্জ দেখেছি- সাকসেসফুলি মোকাবিলা করেছি। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সাহস এবং অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ আসুক সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ওভারকাম করব।
আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারাও দেখতে পারবেন।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নতুন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নেন। তাদের শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ নেওয়া নতুন চার কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।