মহামারির মধ্যে ভারতে করোনার চেয়ে অনেকগুণ প্রাণঘাতী ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গোটা ভারতে এ পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭১৭ জন। যার বেশিরভাগ গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশে।
রাজ্যে রাজ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় মহামারি আইন অনুযায়ী গত সপ্তাহেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারগুলোকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার ও এ সংক্রান্ত সব তথ্য কেন্দ্র সরকারকে জানানোর আহ্বানও জানায়।
একের পর এক রাজ্যে এই ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করেছে। করোনার প্রকোপে বিপর্যয়ের মধ্যে নতুন এই ছত্রাকের সংক্রমণ দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও একটা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে গুজরাটে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮৫৯। তার পরে মহারাষ্ট্র ২হাজার ৭৭০ ও অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৬৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন এই ফাঙ্গাসে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ দেবগৌড়া টুইট করে এই তথ্যই তুলে ধরেছেন।
অপরদিকে দেশটির জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বুধবার জানিয়েছেন, রাজধানীতে ৬২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৯ জন।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আতঙ্কের মধ্যে ইয়েলো এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের বিষয়টি উঠে আসছে। এ প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, কোভিড রোগীদের মধ্যে ছত্রাক সংক্রমণের বিষয়টিকে নানা নামে তুলে ধরা হচ্ছে।
তার মতে এতে একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। ছত্রাকগুলোর রঙ ও সংক্রমিত জায়গাগুলোর ওপর ভিত্তি করে দেওয়া এই নামের কারণেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেই দাবি করেছেন গুলেরিয়া। ব্ল্যাক, হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাস সব একই বলে জানিয়েছেন তিনি।