এতে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বাজারমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার আমদানিনির্ভর খাদ্য পণ্যের শুল্ক-কর হ্রাস এবং ক্ষেত্র বিশেষে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে। খেজুর একটি আমদানি নির্ভর ফল, যা সব শ্রেনির মানুষের ইফতারের অপরিহার্য উপাদান। পবিত্র রমজান মাসে খেজুরকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে খেজুর আমদানির ওপর বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অর্থাৎ মোট করভার ৬৩ দশমিক ৬০ থেকে কমিয়ে ৩৮ দশমিক ৭০ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর ফলে মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় প্রায় ৬০ টাকা হতে ১০০ টাকা কমতে পারে। আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর কমানোর ফলে খেজুরের আমদানি বৃদ্ধি পাবে, বাজারে খেজুরের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। এতে খেজুরের বিক্রয়মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে বলে মনে করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর রমজানে খেজুরের মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য খেজুর আমদানিতে গত বছরের মতো বিদ্যমান কাস্টম ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ ও সমুদয় আগাম কর ৫ শতাংশ অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।