লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ক্যারিবীয় ওপেনারও ঝড় তুলেছিলেন। এভিন লুইস ও শাই হোপ মিলে উদ্বোধনী জুটিতেই স্কোরবোর্ডে তোলেন ১৩৬ রান। তবে এরপরই বাঁধে বিপত্তি। দশম ওভারের প্রথম তিন বলেই ৩ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা, একে একে লুইস, হোপ ও নিকোলাস পুরাণ সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ থেকেছিটকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয় স্বাগতিকদের। তবে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের জিতিয়েছেন রোভম্যান পাওয়েল ও শেরফান রাদারফোর্ড।
তবে দশম ওভারে এক ঝড়ে আউট হন ক্যারিবীয়দের ৩ ব্যাটার। রেহান আহমেদের করা প্রথম বলে ড্যান মৌসলির মুঠোবন্দী হয়ে আউট হন লুইস। সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে ৭ ছয় আর ৪ চারে তিনি করেন ৬৮ রান। এরপরের বলেই রান আউট হন হোপও। দুই ওপেনার ফেরার পর ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হন নিকোলাস পুরাণ।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়লেও ক্যারিবীয়দের জয়ের বন্দরে ভেড়ান অধিনায়ক পাওয়েল ও রাদারফোর্ড। এ দুজনও কাল খেলেছেন মারকুটে ইনিংস, ২৩ বলে ৩৮ রান করে পাওয়েল আউট হলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন রাদারফোর্ড। তার ১৭ বলে ২৯ রানের সুবাদেই ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে ব্যাত করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ইংল্যান্ড পেয়েছিল ৫৪ রান। ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে উইল জ্যাকস সাজঘরে ফিরলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন ফিল সল্ট। তিনি খেলেছেন ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার পথে অধিনায়ক জস বাটলার খেলেছেন ২৩ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
তবে ইংল্যান্ডের স্কোর দুশ পেরোতে বড় ভূমিকা রেখেছেন জ্যাকব বেথেল ও স্যাম কারান। ৩২ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন বেথেল, ৫ ছয় আর ৪ চারে ৬২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি, আর শেষদিকে ১৩ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন কারান, ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রানের দেখা পায় ইংল্যান্ড।