ফারুকী উপদেষ্টা হওয়ার পর তার নামে শাপলা চত্বর–বিষয়ক একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ফারুকী ২০১৩ সালের ৫ মে দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফেসবুকে লিখেছেন- ‘শাপলা চত্বর জঞ্জালমুক্ত হয়েছে’। এই স্ক্রিনশর্ট ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
ফারুকীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া স্ট্যাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো-
আমার দর্শক ভাই-বোনেরা, আপনারা যারা আমার কাজ-কর্ম সম্পর্কে অবগত আছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন, মানুষ এবং ফিল্মমেকার হিসাবে আমি মধ্যপন্থার। আমি চাই পরস্পর বিরোধী মত নিয়াও আমরা এমপ্যাথি লইয়া পাশাপাশি থাকি। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে একে অপরের পাশাপাশি থাকা এবং কোনো ধর্মীয় বিষয়ে অপ্রয়োজনীয় কটাক্ষ এবং হাঙ্গামায় না জড়ানোর জন্য একটা লেখা লিখে বহুবিধ ট্যাগও খেয়েছি। আমাদের আজিজ মার্কেটে দীপন খুনের পর লিখছিলাম।
বহু ডিজিটাল কার্ড এবং ফেইক স্ক্রিনশট ঘুরছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে আমি নাকি ২০১৩ সালে বলেছি- ‘শাপলা চত্বর জন্জাল মুক্ত হয়েছে।’ ডাহা মিথ্যা কথা। শাপলা চত্বরের ঘটনার পরে আমি বরং লিখেছি, মাদরাসার সাধারণ ছাত্রদের মৃত্যুতে আমি ঘুমাতে পারছি না! ইংরেজিতে লেখা পোস্টটা আগ্রহীরা দেখে আসতে পারেন। আমার ছবি দিয়ে কিছু কিছু ফেইক উইকিপিডিয়া স্ক্রিনশটও ঘুরছে। প্লিজ ইগনোর অল দিজ।
আমার আপন দুই ভাই মাদরাসায় পড়েছে। আমি সাধারণ মাদরাসা ছাত্রদের মৃত্যুতে উল্লাস করবো? মাদরাসার ছাত্র কেনো কোনো মানুষের মৃত্যুতে আমি উল্লাস করবো? আমিতো এমনকি অপরাধীর মৃত্যুতেও শোক করি। মিথ্যা কথা ছড়ানোরও তো একটা মাত্রা থাকে।
আমার প্রযোজনায় আমার ছোট ভাই কিবরিয়া পরিচালনা করেছিল ‘আব্দুল্লাহ’ যেখানে দেখানো হয়েছে কেবল মাত্র মাদরাসায় পড়ার কারণে একটা ছেলেকে আমাদের সো-কলড প্রগতিশীল সমাজে কিরকম স্টিগমা ফেস করতে হয়। বোরখা স্টিগমাটাইজ করা নিয়ে বহুবার লিখেছি।
সবার প্রতি অনুরোধ, দয়া করে সব কিছু বিশ্বাস করার আগে একটু কষ্ট করে যাচাই করে নিন।
আমরা আমাদের কাজটা এনজয় করছি। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের শুরুটা করতে পারবো যার ভেতর দিয়ে প্রাথমিকভাবে আট বিভাগীয় শহরে একটা নবতরঙ্গ শুরু করতে পারবো। পারবো জুলাই ন্যারেটিভ নির্মাণ করতে, ১৫ বছরের দুঃশাসনের এক্সরে রিপোর্ট তৈরি করতে। সো লেটস নট ওয়েস্ট আওয়ার এনার্জি বিহাইন্ড হেইট্রেড!