নিহত সুমন শেরপুর শহরের বারাকপাড়া নিমতলা এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে এবং শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। অপরদিকে, আন্নি আক্তার শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার শিক্ষক মো. আজিম উদ্দিনের মেয়ে এবং রবিন শহরের সজবরখিলা এলাকার উত্তরা হাসপাতালের পিছনের গলির মো. ফোরকান পুলিশের ছেলে।
এদিকে, ৪ নভেম্বর, সোমবার, আন্নি সুমনকে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর থেকে সুমনের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সুমনের পরিবার প্রথমে সাধারণ ডায়েরি এবং পরে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আন্নি ও তার বাবা আজিম উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং মুঠোফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে শনাক্ত করে। পুলিশ প্রথমে আন্নি ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে, কিন্তু সুমনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। রবিন জিজ্ঞাসাবাদে সুমনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং জানান যে, তাকে শহরের সজবরখিলা এলাকার আন্নির বাড়ির উঠানে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ রবিনের দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আহম্মেদ বলেন, “এমন ঘটনা আমাদের সজবরখিলায় আগে কখনো হয়নি। মেয়েটির প্রেমের বলি হয়েছে সুমন। শুনেছি, সুমনের থেকে আন্নি বয়সে বড়। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার চাই।”
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত আমরা গুরুত্ব সহকারে পরিচালনা করেছি। মুঠোফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে পাওয়ার পর, আমরা দ্রুত অভিযানে নামে। প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। তদন্তে যদি আরও কেউ জড়িত থাকে, তবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ এবং শোকের সৃষ্টি হয়েছে।