সোমবার (১১ নভেম্বর) এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবেন বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এদিন রাতে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের সহকারী কমিশনার এসএম আকাশ বলেন, সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাংগা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় আকস্মিক পরিদর্শনে যান। সে সময় মাদরাসায় কোনো শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন না। শুধুমাত্র কয়েকজনকে মাঠে খেলাধুলা করতে দেখতে পান। এ সময় একজন অফিস স্টাফকে উপস্থিত পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মাদরাসা ছুটি হয়ে গেছে। তিনি অফিস কক্ষ খুলে দেন। মাদরাসা পরিদর্শন রেজিস্টার দেখতে চাইলে তা তালাবদ্ধ আছে এবং চাবি সুপারের কাছে আছে বলেও জানায় ওই অফিস স্টাফ। এসময় জেলা প্রশাসক হাজিরা খাতায় পরিদর্শন মন্তব্য লিপিবদ্ধ করে মাদরাসা ত্যাগ করেন।
একই সঙ্গে সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতা অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজ আকস্মিক পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক। সেখানে হাজিরা খাতা পরীক্ষান্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত দেখতে পান। তবে রুটিন মোতাবেক কোনো শ্রেণিতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল না। কোনো শ্রেণিকক্ষে কাঙ্ক্ষিত ছাত্রছাত্রী দেখতে পাননি তিনি। এমনকি এ বিষয়ে উপস্থিত শিক্ষকরা সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন দূরাবস্থা দেখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে শিক্ষার মান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে জাতি প্রকৃত শিক্ষার সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবেন বলে জানান তিনি।