মালির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল করার পর এই আটক অভিযান চালানো হয়। বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক এবং সরকারি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ খবর নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও, প্রধানমন্ত্রী মোখতার উয়ানে এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোলাইমান ডোকুরেকে রাজধানী বামাকোর বাইরে কাটি সামরিক ঘাঁটিতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় দেশটিতে অবস্থিত জাতিসংঘের মিশনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুক্তি দাবি করা হয়েছে। শান্ত পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনারও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া আফ্রিকান ইউনিয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইকনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটসের পক্ষ থেকেও নেতাদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। মালির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আটকের এই ঘটনা নতুন করে দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশ অনিশ্চিত করে তুলল। গত বছরের আগস্ট মাসে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয় এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
প্রেসিডেন্ট এনদাও এবং প্রধানমন্ত্রী উয়ানে ১৮ মাস মেয়াদি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজকর্ম দেখাশোনা করছিলেন এবং তাঁরা দেশে আবার বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে দুই সেনা সদস্যকে সরিয়ে দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আটকের ঘটনা ঘটল। গতকাল সোমবার বিকেলে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ফোনে প্রধানমন্ত্রী উয়ানে বলেন, ‘সেনা সদস্যরা আমাকে নিতে এসেছে।’ এরপরই একে একে প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আটকের খবর পাওয়া যায়। এর আগে মালিতে ২০১২ সালে আরেক সেনা অভ্যুত্থানে ইসলামি জিহাদিদের উত্থান ঘটে। জিহাদিরা দেশটির উত্তরাঞ্চলের দখল নিয়ে নেয়। এখনও সেখানে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। ওই অঞ্চল পুনরুদ্ধারে সামরিক বাহিনী পাঠায় ফ্রান্স।