বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, তিনি ব্যাংকে যোগদানের পর রিজার্ভের পতন থামাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি জানান, অর্থপাচার রোধ এবং রফতানি ও প্রবাসী রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ডলারের সরবরাহ বাড়ানোর ফলে রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আগের মতো ঢালাওভাবে ডলার বিক্রি করছে না, ফলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে, এতে রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে।
আগের সরকার পতনের সময়, জুলাইয়ে রিজার্ভ ছিল ২৬ বিলিয়ন ডলার, তবে বর্তমানে তা ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৫.৩০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপিএম-৬ মানদণ্ড অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে ১৯.৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা উন্নতি।
সরকারের পতনের আগে ৩০ জুলাই রিজার্ভ ছিল ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২১ আগস্টে ২০ বিলিয়নে নেমে যায়। এরপর, ১২ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৯.৪৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২ অক্টোবর রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯.৭৬ বিলিয়নে। বর্তমানে, আকু পরিশোধিত আমদানি বিলের কারণে রিজার্ভ কমে দাঁড়াবে ২৩ বিলিয়ন ডলারে।
অক্টোবর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায় ২৪০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় সমান ছিল। ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৪৮.৪ বিলিয়ন ডলার, তবে মহামারি কোভিড, বিশ্ববাজারে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভ কমতে থাকে। গত দুই অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সরকারি ঋণপত্র ও এলসি খোলার জন্য ডলার সরবরাহ করেছে, যা রিজার্ভের আরো হ্রাসের কারণ হয়েছে।