গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন ঢাকা ও এর আশপাশে ৮টি গোপন আটককেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গুলশানে কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, তারা এমন একটি সেল পেয়েছেন, যা র্যাব পরিচালিত ছিল। ওই সেলটি ছিল মাত্র ৩.৫ বাই ৪ ফুট আয়তনের। সেখানে কোনো আলো ঢোকার ব্যবস্থা ছিল না, এবং একটি ড্রেন ছাড়া কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থা ছিল না।
কমিশন জানিয়েছে, তারা গুমের ৪০০টি অভিযোগ যাচাই করেছে। এর মধ্যে ১৭২টি ঘটনায় র্যাব, ৩৭টি ঘটনায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), ২৬টি ঘটনায় ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ৫৫টি ঘটনায় গোয়েন্দা শাখা, ২৫টি ঘটনায় পুলিশ এবং ৬৮টি ঘটনায় অন্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।