যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় হারিকেন মিল্টনের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ তে। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিসের আশঙ্কা হতাহতের খবর আরও বাড়তে পারে। এখনও উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, হারিকেন হেলেন মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আঘাত হেনেছিল ফ্লোরিডায়। তাতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই হারিকেন মিল্টন বুধবার আঘাত হানে ফ্লোরিডায়।
গত বুধবার ভয়ঙ্কর হারিকেন ‘মিল্টন’ আঘাত হেনেছে আমেরিকার ফ্লোরিডায়। তাতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে ১৬ জন হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন বহু মানুষ। বিধ্বংসী এই হারিকেনের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এলাকায়। একাধিক গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারের কাজ চলছে। এই অবস্থায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
হারিকেন মিল্টনের আঘাতে ৩০ লাখের বেশি বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড়ের ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাতে একাধিক ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিল্টন ল্যান্ডফল করার আগে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় ইতিমধ্যে ভারী বৃষ্টি এবং টর্নেডোর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর মিল্টনের আঘাতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।
উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৪৯ টি পোষ্যসহ ৩৪০ জনেরও বেশি মানুষকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। টাম্পা পুলিশ একটি ভেঙে পড়া গাছের ডালের নিচ থেকে ৭৯ বছরের এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, ১৪ বছরের এক কিশোরকে একটি কাঠের টুকরোর ওপরে ভাসতে দেখে উদ্ধারকারীরা তাকে উদ্ধার করেন। ঘটনাটি হিলসবরো কাউন্টি এলাকার।
এছাড়াও, উপকূল রক্ষী বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার একজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। তিনি মাছ ধরার জন্য নৌকা নিয়ে বের হয়েছিলেন। সেই সময় তার নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, যে সেন্ট পিটার্সবার্গ এলাকায় প্রায় ৪৮ সেমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এভাবে বন্যাকে বিস্ময়কর বলে বর্ণনা করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ৩ নম্বর ক্যাটাগরির এই হারিকেন ঝড়টি সিয়েস্তা কী-তে ল্যান্ডফল করে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি ৪৬-তলা ভবনে কাজ করার সময় একটি ক্রেন ভেঙে পড়ে। এছাড়াও, ধ্বংসযজ্ঞের কারণে শহরে পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। একটি বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতিতে ফ্লোরিডা বাসীর প্রশংসা করে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দুটি হারিকেনের মুখোমুখি হয়েছেন এখানকার মানুষ। এর মধ্য দিয়ে যাওয়া সহজ নয়। প্রশাসনের তরফে রাজ্যটিকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।