২০২১ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিন বছর আট মাসে দেশে ৯২০ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে দেশে প্রায় ২১ জন কন্যাশিশু বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যা করছে। এর মধ্যে ৪১ শতাংশেরও বেশি আত্মহত্যা সরাসরি পরিবার বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জড়িত। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর চোখে ভবিষ্যৎ দেখি’ (Girls’ vision for the future)। যাদের চোখ দিয়ে ভবিষ্যৎ দেখার কথা, সেই কন্যাশিশুদের এমন অকাতরে আত্মহত্যা এক কঠিন বাস্তবতার মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় জাতিকে।
সবচেয়ে বেশি কন্যাশিশুর আত্মহত্যা যে কারণে : শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সব ব্যক্তি শিশু।
প্রেমের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১৬৮ জন, যা মোট মৃত্যুর ১৮.২৬ শতাংশ। অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ও অজ্ঞাত কারণে আত্মহত্যা করেছে ১১৯ জন করে গত ৪৪ মাসে। এ ছাড়া স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অত্যাচারে ৩.০৪ শতাংশ ও ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে ১.৭৪ শতাংশ কন্যাশিশু।
যৌতুকের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১.০৯ শতাংশ। এ ছাড়া নির্যাতনের কারণে একজন গৃহকর্মী কন্যাশিশুও আত্মহত্যা করেছে এ সময়।