আজ রোববার রাত ৯টা থেকে কাল সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ইরানে সব বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বিমানবন্দর দিয়ে কোনো ধরনের বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করবে না।
ইরানের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা মেহের নিউজ। বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ ইরানি কর্তৃপক্ষ সব পাইলটকে পাঠিয়েছে। তবে জরুরি ফ্লাইট, ফেরি ফ্লাইট এবং সরকারি বিমানকে এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
ইরানের আরেক রাষ্ট্রায়াত্ত্ব বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ‘অপারেশনাল সীমাবদ্ধতার’ কারণে বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটির সঙ্গে ইসরায়েলের পাল্টা হামলার বিষয়টি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ টানেলও মধ্যরাত থেকে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তেহরানভিত্তিক লেখক তৌহিদ আসাদি আলজাজিরাকে বলেছেন, ইরান বিমানবন্দর বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে এটিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে এবং এটির উপর নজর রাখতে হবে। কারণ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানিয়েছেন, ইরান কি আক্রমণ, রক্ষণাত্মক নাকি পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে বিমানবন্দর বন্ধ করেছে সেটি হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যে জানা যাবে।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। এরপর থেকেই এটির পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে দখলদাররা। তবে কবে কখন এবং কোন সময় হামলা চালাবে সেটি এখনো স্পষ্ট করেনি তারা।
মিসাইল হামলার জবাবে ইরানে ইসরায়েল শক্তিশালী হামলা চালাবে জানিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহ বলেন, “সম্প্রতি ইরান ইসরায়েলে যে মাত্রার মিসাইল হামলা চালিয়েছে, বিশ্বের অন্য কোনো দেশ তাদের ভূখণ্ড ও জনগণের ওপর এই মাত্রার হামলা বরদাস্ত করবে না, ইসরায়েলও করবে না।”
“নিজের ভূখণ্ড ও নাগরিকদের রক্ষা করা শুধু অধিকারই নয়, এটি ইসরায়েলের দায়িত্বও। ইসরায়েল সেই দায়িত্ব নিশ্চিতভাবেই পালন করবে।”
ইরানে ইসরায়েলের এই সম্ভাব্য হামলার করণীয় ঠিক করতে পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তারা তেলআবিবে বৈঠক করেছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার এরিক মাইকেল কুরিলার ইসরায়েলে যাওয়ার কথা ছিল।