প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কাশিমপুর কারাগার থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এরপর তাকে করোনা পরীক্ষা করার পর আইসোলেশনে রাখা হবে। রোজিনা ইসলাম আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপসহ বেশকিছু অসুখে ভুগছিলেন। বিকেল তিনটার দিকে কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জামিনের কাগজপত্র পৌঁছালে পরবর্তী প্রক্রিয়া শেষ সোয়া চারটার দিকে কারাগার থেকে মুক্ত হন রোজিনা ইসলাম।
এরআগে, পাঁচ হাজার টাকার বেলবন্ডের বিনিময়ে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। রবিবার (২৩ মে) সকালে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। শর্তানুযায়ী, আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তার জামিন শুনানি হয়। ওইদিন জামিন না দিয়ে নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেওয়ার কথা জানান আদালত। শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
গত সোমবার (১৭ মে) সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শাহবাগ থানা থেকে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর তাকে আদালতে তোলা হয়।
এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। অপরদিকে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকর্তার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।