যশোরে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করার ২৬ দিন পরে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন চুয়াডাঙ্গার যুবক মাহফুজুর রহমান (২২)। গত ২৬ এপ্রিল তাকে যশোর শহরের চারখাম্বার মোড়ের মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করে পরিবার। মৃত মাহফুজুর রহমান চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে। গত শনিবার মারা যাওয়ার পর নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়।
রবিবার (২৩ মে) দুপুরে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, শনিবার দুপুরে কেন্দ্রের ভেতরে মারধরসহ নির্যাতনের ফলে মারা যান মাহফুজুর রহমান। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কে বা কারা মাহফুজুর রহমানের লাশটি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে চলে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি দেখে বিভিন্নস্থানে বার্তা পাঠায়। এরই মধ্যে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে আসে। মৃত মাহফুজুর রহমানের হাতে একটি কামড়ের দাগ আছে।
তিনি বলেন, পুলিশের পৃথক কয়েকটি টিম সারারাত অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পূর্ববারান্দীপাড়ার বাসিন্দা আবুল কাসেমের ছেলে মাসুম করিম ও অপর পরিচালক বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল কবির, রেজাউল করিম, ওহেদুজ্জামান, ওহিদুল ইসলাম, আল শাহরিয়া, শাহিন, ইসমাইল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, এ এস এম সাগর আলী, অহেদুজ্জামান সাগর, নুর ইসলাম, হূদয় ওরফে ফরহাদ ও আরিফুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।