দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটির ১১তম আসর। আর ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। কিন্তু এখনও কোন সাতটি দল অংশ নিবে এখনও ঠিক হয়নি। এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর অংশগ্রহণ ফি-ও জমা হয়নি। আজ বিসিবির কার্যালয়ে বিপিএলের রোডম্যাপ নির্ধারণে ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর গণমাধ্যমকে এমনটায় জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যাপারটা এখনো শতভাগ ঠিক হয়নি। আপনি জানেন শেষ দুই মাস আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। এখনো আমরা সেই পরিস্থিতি থেকে পুরোপুরি বের হতে পারিনি। সে জন্য চ্যালেঞ্জটা এখনো আছে। আমি বলব না যে সব ঠিক হয়ে গেছে। এখনো কিছু পাওনা (ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি) বাকি আছে। যেহেতু আমাদের ড্রাফট ১৪ অক্টোবর, আশা করি তার আগেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর সুবিধা অসুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা শেষে উপভোগ্য একটা আসর উপহার দিতে চায় বিসিবি। একই সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের যেটা ভালো হয় সেটাই করবে বোর্ড। ‘আমাদের রিটেনশেনর বিষয়টা ভালোভাবে কার্যকর হতো যদি সাতটা টিমই থাকত। যেহেতু সাতটা টিম নেই, চারটা টিম আছে আর তিনটা নতুন এসেছে। তাছাড়া বেশি সময় হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিরা এসেছে। আর তাদের সঙ্গে খুব একটা মিটিংও হয়নি। এটাই প্রথম এত বেশি সময় আমরা তাদের সঙ্গে কথা বললাম। তাদের সুবিধা অসুবিধাগুলো জানলাম। ফারুক আহমেদ।’
‘আমরা এমন কিছু করব যাতে সবার জন্যই ভালো হয়। আমরা আসলে এখনই সব করতে পারছি না। কারণ পেমেন্টের বিষয়টা যতক্ষণ না নিশ্চিত না হচ্ছে আমরা বাকি কাজগুলো শতভাগ করতে পারছি না। আশা করছি দুই তিন দিনের মধ্যে এটা ঠিক হয়ে যাবে। আমি আশাবাদী দুই একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি বাকি আছে তারা দ্রুতই পেমেন্টটা করে ফেলবে।’