ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে দেশটির সামরিক আদালত। এর মধ্যে তিনজন মার্কিন নাগরিক আছেন। গতকাল শুক্রবার দেশটির একটি সামরিক আদালত এই আদেশ দেয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন মার্কিন নাগরিকের একজন ক্রিশ্চিয়ান মালাঙ্গার ছেলে মারসেল মালাঙ্গা, তার বন্ধু টেইলর থম্পসন। তাদের বয়স ২০ বছরের কিছু বেশি। এই দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের উতাহ অঙ্গরাজ্যে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তৃতীয় মার্কিন নাগরিক হলেন বেঞ্জামিন জালমান-পলুন। তিনি ক্রিশ্চিয়ান মালাঙ্গার ব্যবসায়িক সহযোগী ছিলেন।
কঙ্গোর সামরিক আদালত তিনজনের বিরুদ্ধেই অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য অভিযোগ আনা হয় এবং দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সামরিক আদালতের এই বিচারকাজ দেশটির টিভি চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচার করা হয়।
মারসেল মালাঙ্গা আদালতকে বলেছিলেন, তিনি এই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ না করতে চাইলে তার বাবা তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি আদালতকে আরও বলেন, তিনি তার বাবাকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দেখেননি এবং এটিই তার প্রথম কঙ্গো সফর ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটিশ, কানাডীয়, বেলজিয়াম ও কঙ্গোলিজ নাগরিকসহ প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে বিচার শুরু করা হয়। যার মধ্যে মোট ৩৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১৯ মে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসা অবস্থিত কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট কার্যালয় দখল করে নেয়। গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কঙ্গোলিজ রাজনীতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান মালাঙ্গার অনুসারী ছিল। এই ঘটনার অল্প পরেই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী মালাঙ্গাকে হত্যা করে।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বা স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, কঙ্গোতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরা এই বিচার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং তারা ঘনিষ্ঠভাবে স্থানীয় ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখবেন।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে জানিয়ে মিলার বলেন, ‘আমরা জানি যে, কঙ্গোর আইন আসামিদের আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেয়।’