বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মালিকানাধীন দোকান ভাড়া নিয়ে এক মাস ধরে চলছে বিতর্ক। নামমাত্র ভাড়া কিংবা যে পরিমাণ অর্থ দোকান ভাড়া থেকে আসে, সেটার সুষ্ঠু বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সেখানে তদারকি করতে হাজির হন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি ঘুরে ঘুরে কয়েকটি দোকান পরিদর্শন করেন এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। সব দেখে, শুনে তিনি রীতিমতো হতবাক।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আসিফ বড় বিস্ময় নিয়ে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে আমাকে এনে কেউ দুর্নীতির মহাসাগরে ছেড়ে দিয়েছে! আজ এনএসসির অধীনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দোকান পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ২০-২২ টাকা/বর্গফুট হিসেবে এনএসসির কাছে ভাড়া গেলেও সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারলাম দোকানগুলো ১৭০-২২০ টাকা/বর্গফুট করে ভাড়া দিচ্ছে। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে সরকার। অর্থাভাবে ফেডারেশন চলছে না, টুর্নামেন্ট হয় না, মাঠের সংস্কার হয় না। অথচ বছরের পর বছর এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি হয়েছে।’
আগের নির্ধারিত মূল্যকে বাড়িয়ে নতুন করে দোকানের ভাড়া নির্ধারণ এবং দোকান ভাড়া থেকে অর্জিত অর্থের সুষ্ঠু বণ্টন নিয়ে কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এই ভাড়ার সঙ্গে এনএসসি থেকে কেউ জড়িত কি না, সেটা আমরা খতিয়ে দেখব। এখানে এক হাজারের ওপর দোকান আছে। সারা দেশে এমন অনেক দোকান আছে। আমাদের হয়তো সব জায়গায় গিয়ে দেখা সম্ভব নয়। তবে আমরা একটা জরিপ করব। দেখুন, অনেক ফেডারেশন অচল আছে বাজেটের অভাবে। আমরা এই ভাড়ার টাকাটা তাদের জন্য এবং ক্রীড়ার উন্নয়নে ব্যয় করতে চাই। আর আগের যে দাম রয়েছে, সেটা খুবই পুরোনো। আমরা বর্তমান বাজারের সঙ্গে মিল রেখে ভাড়া ঠিক করব। প্রাথমিকভাবে আমরা এটা ঠিক করেছি। এখন কীভাবে এটাকে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করব।’