আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এ দাবি করে দলটি। সেখানে বলা হয়, এই সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দুস্থ কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো। তৃণমূলের প্রায় ৫০ হাজার কর্মী ই-মেইল ও মেসেজের মাধ্যমে তাঁদের করুণ অবস্থার কথা জানিয়েছেন। বিশেষ করে অনুরোধ করেছেন তাঁদের পরিবার বাঁচাতে। অনেকেই মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তারের কারণে বাড়িতেও অবস্থান করতে পারছেন না।
পোস্টে আরও বলা হয়, দেশে বা প্রবাস থেকে যারা দুস্থ নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী, তাদের ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেখানে দুস্থদের তথ্য সরবরাহ করা হবে। সেখানে ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে—
[email protected] এবং হোয়াটসঅ্যাপ +১ (৯১৭) ৫৬৯-৯৩২৭।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আর্থিক সংকটে আছেন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা পোস্ট দিয়েছেন। এতে দলটির কেউ কেউ সাহায্য-সহযোগিতাও করেছেন। সহযোগিতাকারীদের আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ জানিয়েছে। তবে কারও ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, জুলাই-আগস্ট পুরো মাস এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। সেই তথ্য দলটি এখনো সংগ্রহ করছে।
হামলা-মামলার চিত্র তুলে ধরে পোস্টে বলা হয়, দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন, এমনকি কয়েক হাজার ওয়ার্ড পর্যায়েও হামলা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর। তাঁদের সবকিছুই লুট করেছে ‘বিএনপি’ ও ‘জামায়াতের’ সন্ত্রাসীরা। মহানগর ও জেলা, উপজেলা পর্যায়ে একেকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৫ থেকে ১০টি পর্যন্ত ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় পোস্টে।