ভারতীয়দের ক্রিকেট উন্মাদনা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ভারতের যে মাঠেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আইপিএল আয়োজন করা হোক না কেন, সেখানে গ্যালারিভর্তি দর্শক দেখা যায়। আইসিসি ইভেন্ট হলে তো কথাই নেই। এক বিশ্বকাপ আয়োজন করেই ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক প্রভাব হয়েছে ভারতে।
আইসিসি আজ একটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে দেখা গেছে ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ বিশ্বকাপে অর্থনৈতিক অবদান হয়েছে ১৩৯ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১৬ হাজার ৬০৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। যেখানে ৬৩ শতাংশ এসেছে পর্যটন খাত থেকে। বিশ্বকাপের আয়োজক শহরগুলোর পর্যটন বিভাগ ৮৬.১৪ কোটি ডলার আয় করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১০ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। ভারতীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। দেশ বিদেশ থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের থাকা, খাওয়া, যাতায়াত, পানীয় মিলে এমন আয় করেছে পর্যটন বিভাগ।
আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধর্মশালা, কলকাতা, লক্ষ্ণৌ, মুম্বাই, পুনে—এই দশ শহরে গত বছর আইসিসি ও বিসিসিআই একত্রিত হয়ে সরাসরি বিনিয়োগ করেছে স্টেডিয়ামের অবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রোগ্রাম করেছিল। এক্ষেত্রে তারা ‘স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের’ সাহায্য নিয়েছে। ভারতের অর্থনীতিতে সেটা অনেক অবদান রেখেছে। পর্যটন খাত বাদে বাকি ৩৭ শতাংশ আয় হয়েছে ইনক্রিমেন্টাল খাত থেকে। ৫১.৫৭ কোটি ডলার আয় হয়েছে ইনক্রিমেন্টাল খাতে। বাংলাদেশি টাকায় ৬১৬১ কোটি ৫ লাখ।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার দর্শক এসেছেন খেলা দেখতে। যা ভেঙে দিয়েছে অতীতের সব রেকর্ড। রেকর্ড ১২ লক্ষ ৫০ হাজার দর্শক সমাগম হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দর্শকদের ৭৫ শতাংশই ওয়ানডে বিশ্বকাপ দেখতে এসেছেন প্রথমবার। এছাড়া বিদেশি দর্শকেরা বিশ্বকাপ দেখতে এসে ভারতের বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটও ঘুরেছেন। তাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষের পূর্ণ ও আংশিক সময়ের কর্ম সংস্থান হয়। আইসিসির প্রতিবেদন থেকে সেটা জানা গেছে। ভারতের অর্থনৈতিক খাতে যা যোগ করেছে ১.৮ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ২১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা।