ইভটিজিংয়ে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর সদর থানায় হামলা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের অপরাধে ১০ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৮০-১০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল সামাদ।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়েকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তদন্তের জন্য উপপরিদর্শক (এসআই) সামাদ ও সঙ্গীয় ফোর্স কোড়ালিয়া রোডে যান। সেখানে গিয়ে আসামি ফাতেমা উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের নিয়ে বিবাদী পক্ষের লোকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। পুলিশ ঘটনা শান্ত করে থানায় চলে আসে।
একপর্যায়ে তারা ম্যাচের খাবারের ঘর থেকে এসআই সামাদকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করেন। এই ঘটনায় থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এমন পরিস্থিতি দেখে ওই সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকেও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন থেকে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’