সংশোধিত শিক্ষাক্রমের আলোকে এ তথ্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠানোর জন্য মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নির্ধারিত ওয়েব অ্যাপে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিস থেকে চাহিদা দাখিল করতে হবে। ১২ সেপ্টেম্বর জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে চাহিদা অনুমোদন দিতে হবে। আর ১৭ সেপ্টেম্বর আঞ্চলিক উপপরিচালকরা চাহিদা অনুমোদন দেবেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে পাঠ্যবইয়ের চাহিদা দাখিল শুরু হয়েছে
এনসিটিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সব শিক্ষার্থীর মাঝে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যের পাঠ্যবই মুদ্রণ করে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে সরবরাহের বিষয়টি সরকারের একটি অগ্রাধিকারভুক্ত ও জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবইয়ের চাহিদা দাখিল থেকে শুরু করে পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন সব জেলা-উপজেলা-থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস নিরলসভাবে সহযোগিতা করে থাকে।
জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, অন্যান্য বছরের মতো ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি ট্রেড স্তরের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অনলাইনে সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২-এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবইগুলো (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আপনার অধীন অঞ্চল-জেলা-উপজেলা-থানা থেকে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের চাহিদা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নতুন তৈরি করা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বইয়ের চাহিদা পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।
চাহিদা দাখিলের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ছাড়া অন্য কোনো অফিসে বা এনসিটিবিতে হার্ড কপি অথবা অনলাইনে বা ই-মেইলে চাহিদার সফটকপি পাঠানোর প্রয়োজন নেই। চাহিদা সংক্রান্ত এনসিটিবি কর্তৃক যেকোনো নোটিশ-অফিস আদেশপত্র এনসিটিবি’র ওয়েবসাইটে (www.nctb.gov.bd) অবশ্যই যাচাই করে নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।