দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার জহুরুল হক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে । বৃহস্পতিবার (২০ মে) সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী জেবুন্নেছার বিরুদ্ধে অনিয়মের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে দুদক কমিশনার বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য এলে আমরা খতিয়ে দেখব। এমনি বললে হবে না। এখানে এত বিঘা ও বিদেশে এত সম্পত্তি এটা বললে হবে না। জমি থাকলে কোন জায়গায়, টাকা কোন হিসাবে আছে—এ রকম সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে আমরা খতিয়ে দেখব।’
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছার নাম আসে।
ঘটনার দিন রাতেই রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে তার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন ও দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়। মামলাটি করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী। রোজিনা ইসলামের সহকর্মীরা বলছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে ‘হয়রানি’ করা হচ্ছে।
এদিকে চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় রোজিনা ইসলামের জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত। বর্তমানে রোজিনা ইসলাম গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে রয়েছেন।