ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চেয়ে দেশটি জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ ও ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
দেশটির রাজধানী তেলআবিব ও জেরুজালেমে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে রাজপথে জড়ো হয়ে জিম্মি মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে ৬ জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর এই বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন সোমবার সারা দেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
গাজায় জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে তাদের মুক্তির জন্য হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি করার দাবি জানিয়ে রবিবার রাত থেকে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
বিক্ষোভের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর গাজায় হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধান শ্রমিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমোন-বার ডেভিড বলেন, আমরা একটি চুক্তির পরিবর্তে বডি ব্যাগ (লাশের ব্যাগ) পাচ্ছি। এ অবস্থায় তিনি সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে একদিনের শ্রমিক ধর্মঘটের আহ্বান জানান।জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা ইসরায়েল সরকারের এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয়।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি জিম্মিদের মুক্তি এবং দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য একটি চুক্তি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি আরো বলেন, যারা জিম্মিদের হত্যা করছে, তারা কোনো চুক্তি চায় না।
রবিবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি টানেল থেকে নতুন করে ৬ জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগরি জানিয়েছেন, আমাদের ধারনা, আমরা তাদের কাছে পৌঁছানোর অল্প সময় আগে হামাসের সন্ত্রাসীরা তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা বলছে, প্রায় ১১ মাস ধরে নির্যাতন সহ্য করার পর ওই ৬ জনকে গত কয়েকদিনে খুন করা হয়েছে। তারা দাবি করছে, জিম্মিদের মুক্তির চুক্তি করতে দেরির কারণে এই ৬ জনসহ আরো অনেক জিম্মির মৃত্যু হয়েছে।