রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে তৃণমূল পর্যায়ে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে কুমিল্লা ও ফরিদপুরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এতদিন শুধু আওয়ামী লীগ ছিল প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ, আমরা তাদের আক্রমণের ধরন বুঝতাম ও জানতাম। এখন ওরা ছাড়াও চারিদিকে অসংখ্য অদৃশ্য প্রতিপক্ষ, এদের অবস্থান অন্ধকারে। এরা সর্বত্র, সতর্ক থাকতে হবে এই দৃশ্যমান আর অদৃশ্য প্রতিপক্ষ মোকাবিলায়।
বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি গত বছর জুলাইয়ে উপস্থাপিত ৩১ দফা কর্মসূচির মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
তারেক বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে এদেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়, রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞানী-গুণীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়। তরুণ ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতা অনুযায়ী ভাতা প্রবর্তন করতে চায়। নিশ্চিত করতে চায় সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ। স্বাস্থ্য শিক্ষা কৃষি অর্থনীতি সকল ক্ষেত্রে আনতে চায় যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। গড়তে চায় ধর্ম বর্ণ গোত্র গোষ্ঠী সমতল পাহাড়ি নির্বিশেষে এক সুষম সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ।
তিনি দলের সব নেতাকর্মীকে এই বার্তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফলতা আর জনপ্রিয়তার একমাত্র ভিত্তি ছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা। এদেশের মানুষের প্রাণঢালা ভালোবাসা আর আস্থাই বিএনপির একমাত্র শক্তি। জনগণের এই প্রতিষ্ঠিত ভালোবাসাকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে, কোনোভাবেই এটা বিনষ্ট করা যাবে না। আর কেউ যদি কোনো অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় তাহলে সে যত বড়ই হোক, দল তাকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দেবে না বলে দৃঢ় সতর্কবার্তা পৌঁছে দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অতীতের মতো আবারও দল হিসেবে সফল হবে।