সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপার লড়াইয়ে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে আজ মাঠে নামে বাংলাদেশ। আজ ফাইনালে ফেভারিটের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল নেপাল। কেননা এক ঘরের মাঠ অন্যদিকে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশকে হারানোর স্বাদ তারা নিয়ে থাকে। তবে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয় আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হয়ে উঠে বাংলাদেশের যুবরা। সেই আত্মবিশ্বাসে প্রথমার্ধে ১ গোলের লিড নিয়ে এগিয়ে থাকে লাল-সবুজ প্রতিনিধীরা। শেষ পর্যন্ত ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে নেপালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করে টাইগার যুবরা।
এদিন খেলার দ্বিতীয় মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার রাজিব হোসেন। পঞ্চম মিনিটে বাংলাদেশ ম্যাচের প্রথম সুযোগ তৈরি করেন রাইট উইঙ্গার। নবম মিনিটে নেপালের সহজ গোলের সুযোগ ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ। এ সময় বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও আসিফের দৃঢ়তায় কোনো বিপদ হয়নি বাংলাদেশের।
২১ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে নিরাজন ধামি ফাঁকা বল বাড়ান অবিনাশ স্যান্তানের দিকে। কিন্তু তিনি বল গোলমুখে মারার চেষ্টা করলেও বাইরে চলে যায়, নেপালের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়। পরে রাইট উইং দিয়ে রাব্বি হোসেন রাহুল বেশ কিছু আক্রমণ করলেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে দুদলই মেতেছিল। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে নেপালের ডি বক্সের বাইরে স্ট্রাইকার মিরাজুল ইসলাম ফাউলের শিকার হন করে। ফ্রি কিক থেকে অসধারণ শটে টপকর্নারে গোল করেন মিরাজুল, ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধেও স্বাগতিকদের মাঠে আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে টাইগার যুবরা। তারেই সুবাধে দ্রুতই গোলের দেখা পায় মারুফুল হকের দল। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ব্যাক্তিগত জোড়া গোল করে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন মিরাজ। দুই গোলে এগিয়ে থেকেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত থাকে টাইগারদের। ম্যাচের ৭১তম মিনিটে এবার বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন রাব্বি হাসান রাহুল।
বল নিয়ে একাই বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ঢুকে মিরাজুল তার মার্কারকে বডি ডজ দিয়ে আনমার্কড রাহুলকে পাস দেন। রাহুল ডানপায়ের নিখুত শটে ডান দিক দিয়ে গোল করেন। নেপালের বিপক্ষে তিন গোলে এগিয়ে গেলে স্বাগতিক সমর্থকরা মাঠে বোতল ছুড়ে মারলে কিছুক্ষণ খেলা থেমে থাকে। খেলা ফের শুরু হলে শেষ দিকে খেলা আরও জমে উঠে। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে গোল ব্যবধান কমান নেপাল।
নিধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে ১০ মিনিটের ইনজুরি টাইম দেয় ম্যাচ রেফারি। সেখানে যোগ করার সময়ের নেপালের জালে চতুর্থ গোল দিয়ে জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের জয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।