দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি হত্যা- তার মৃত্যুর পর পরই উঠে গিয়েছিল সে প্রশ্ন। এ নিয়ে ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছে বুয়েন্স আয়ার্সের পুলিশ। শুধু তাই নয়, ম্যারাডোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এমন ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে তার বন্ধু, পরিচারিকা- অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এবার নতুন তথ্য হাজির করা হলো সামনে। বলা হচ্ছে, পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে ম্যারাডোনাকে এবং মোট সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার। বুয়েন্স আয়ার্সের আদালত সূত্রে এমনটাই খবর জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। আর্জেন্টিনার সান ইসিদরোর অফিসের প্রসিকিউটর আদালতের প্রতি আর্জি জানিয়েছেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত এই সাতজনের ওপর যেন দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে আর্জেন্টিনার আইন অনুসারে অভিযুক্তরা সর্বনিম্ন ৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন। যে সাতজনের নামে হত্যার অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন স্নায়ু শল্য চিকিৎসক লিয়োপল্ডো লুক, যিনি ম্যারাডোনার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেছিলেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনো কোসাশভ এবং মনোবিজ্ঞানী কার্লোস ডিয়াজ।
গত বছর ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ম্যারডোনা। তখন মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। তবে তার মৃত্যু নিয়ে এরপরই তদন্ত শুরু হয়। সে তদন্তেই জানা যাচ্ছে, তার চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। ম্যারাডোনার দুই মেয়ে লুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর তার শরীর আরও খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য লুককে দায়ি করেন ম্যারাডোনার দুই মেয়ে।