স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নথিপত্রের তথ্য চুরির অভিযোগে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। তবে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানান আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুর ২টার দিকে শেষ হয় তাঁর জামিন শুনানি। এর আগে দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিটে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তাঁর জামিন শুনানি শুরু হয়। রোজিনার জামিন শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
গত সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর নথিপত্র চুরি ও ছবি তুলে নেওয়ার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় মামলা দিয়ে রোজিনাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৮টায় রোজিনাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। পরে শুনানি শেষে ওই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে রোজিনার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) নির্ধারণ করেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার রোজিনাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত তা খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। রোজিনাকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন, দল ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রোজিনার গ্রেপ্তারের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তি দাবি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া রোজিনাকে থানায় সোপর্দ, মামলা দায়ের, সারা রাত থানায় রাখা, আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন এবং জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।