বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, উনি (তারেক রহমান) যখনই মনে করবেন ‘হি ক্যান কাম ব্যাক।’ আমরা অলরেডি অনুরোধ জানিয়েছি যে, দ্রুত চলে আসেন। সেই ব্যবস্থা হবে ইনশাল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্ররা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসেবে চান, আপনারা সমর্থন করেন কি না? জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে আমাদের সমর্থন করার ব্যাপার না। এটা হচ্ছে যে, যখনই প্রেসিডেন্ট আমাদের কাছে প্রস্তাব দেবেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের নামের জন্য, আমরা সে সময়ে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম দেবো।
আপনারা কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্থির করেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি ‘না’ সূচক জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি আজকে আপনাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে। শুভেচ্ছা জানাচ্ছি একটি গণতান্ত্রিক দেশের প্রত্যাশায় এবং একই সঙ্গে আপানাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আপনারা এই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আপনারা কাজ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের স্যালুট
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা গভীরভাবে শ্রদ্ধা জানাতে চাই, সেসব শহীদদের। ছাত্র ও জনতা যারা দীর্ঘ ১৫/১৬ বছরের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমরা অভিবাদন জানাতে চাই, স্যালুট জানাতে চাই, আমাদের ছাত্রদের আমাদের সন্তানদের যারা তাদের মেধা বুদ্ধিমত্তা সাহস নিয়ে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বুকের রক্ত দিয়ে ছাত্র-জনতা বিজয় অর্জন করেছেন আমরা তাদের স্যালুট জানাই।
‘বিএনপির বার্তা’
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশবাসীর কাছে পৌঁছিয়ে দিতে চাই, এখন স্থান নেই কোনো প্রতিহিংসা, কোনো প্রতিশোধ গ্রহণের। এখন প্রয়োজন ধৈর্যের সঙ্গে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সুসংহত করা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের দোতলায় একটি কক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে স্বশরীরে মহাসচিবসহ পাঁচজন সদস্য ছিলেন। বিদেশে অবস্থান করা আবদুল মঈন খান, সালাউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।