মুন্সিগঞ্জে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন পাঁচজন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টা থেকে সুপার মার্কেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে সুপার মার্কেট মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের সামনে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেন। হামলায় অংশ নেন শহর, সদর ও হরগঙ্গা কলেজসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। ছাত্ররা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনকারী কয়েকজন জানান, জীবন বাঁচাতে সবাই নানা দিকে ছুটেছে। এসময় যাকে যেভাবে পেড়েছে পেটানো হয়েছে।
তবে মুন্সিগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগর ও হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহমদে দাবি করেন, কাউকে মারধর করা হয়নি। বিএনপি-জামায়াতের উসকানিতে সেখানে ছাত্ররা অবস্থান নিয়েছিল। আমরা মিছিল নিয়ে আগালে তারা যে যার মতো ছুটে যায়। কাউকে আঘাত করা হয়নি।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, কোটার পক্ষে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে অবস্থান নিয়েছিল। বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।