সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দুই রোহিঙ্গা নারীসহ মানবপাচারকারী চক্রের হোতা আব্দুল্লাহ তরফদারকে আটক করেছে রিভারাইন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
রোববার (১৪ জুলাই) শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক রোহিঙ্গারা নারী হলেন- সাজিদা বেগম (১৯) ও হাজরা বেগম (২১)। এদের মধ্যে সাজিদা কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বাঁশনল ক্যাম্পের সদস্য। আর হাজরা বেগম (২১) কক্সবাজার সদরের ১৮ নম্বর ক্যাম্পের সদস্য।
এছাড়া আটক পাচারকারী চক্রের হোতা আব্দুল্লাহ তরফদার সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামের মাস্টারপাড়া এলাকার আকবর তরফদারের ছেলে।
বিজিবি কৈখালী ক্যাম্পের ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদী দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য আটক দুই রোহিঙ্গা নারীকে তিনদিন ধরে নিজ বাড়িতে লুকিয়ে রাখে আব্দুল্লাহ। গত কয়েক মাস ধরে আব্দুল্লাহ ও তার লোকজন নদী পথে রোহিঙ্গা নর-নারীদের ভারতে পাচার করছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহর বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। এরপর রোববার ভোরে ভারতে পাচারের পূর্বমুহূর্তে পাচার চক্রের প্রধান আব্দুল্লাহসহ দুই রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়।
লিয়াকত হোসেন আরও জানান, আটক দুই রোহিঙ্গা নারী কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসে। পরবর্তীতে ভাল কাজের প্রতিশ্রুতিতে দালালের মাধ্যমে তারা সীমান্ত পার হওয়ার জন্য আব্দুল্লাহর কাছে পৌঁছায়। আটকদের সন্ধ্যায় শ্যামনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বিজিবি সদস্যরা দুই রোহিঙ্গা নারীসহ পাচারকারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত পদেক্ষপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী কৈখালী, রমজাননগর ও নুরনগর এলাকার নদী পথকে পাচারকারীদের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রোহিঙ্গা পাচার, ভারতীয় গরু, মাদক, ভারতীয় ওষুধ ও বাংলাদেশের জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মালামাল পাচারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চক্র জড়িত বলে দাবি স্থানীয়দের।