গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বকশীগঞ্জ হাটের পজিশন দেওয়া নিয়ে বখতিয়ার রহমান (২৫) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। হাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।
সম্প্রতি এ ঘটনায় হাটের ইজারাদার মুন্না প্রমাণিকের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবরে অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী বখতিয়ার রহমান।
ওই অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে- উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগাছা গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে ও শারিরীক প্রতিবন্ধী বখতিয়ার রহমান। তিনি বকশীগঞ্জ হাটে পজিশন নিয়ে অস্থায়ীভাবে জুতার ব্যবসা করার পরিকল্পনা নেয়। এই লক্ষে হাটের ইজারাদার মুন্না প্রামাণিকের শরণাপন্ন হয়। এই সুযোগে ইজারাদার পজিশন দেওয়ার নামে বখতিয়ারের কাছ থেকে ১৯ হাজার টাকা নেন। এরপর ওই পজিশন বুঝে চাইলে বখতিয়ার কাছে আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন মুন্না প্রামাণিক। দাবিকৃত এই টাকা দিতে না পারায় বখতিয়ারকে পজিশনটি দিতে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহনা করে আসছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন বখতিয়ার রহমান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বখতিয়ার রহমান বলেন, আমি একজন অসহায়-গরিব ও প্রতিবন্ধী। দুটির মধ্যে একটি হাত নেই। এ অবস্থায় ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহে বকশীগঞ্জ হাটের পজিশনের জন্য ইজারাদার মুন্না প্রামাণিক আমার কাছে ১৯ হাজার টাকা নিয়েছেন। এখন ওই পজিশন না দিয়ে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন তিনি। আমি এর প্রতিকার দাবি করছি।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ হাট ইজারাদার মুন্না প্রমাণিক বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুল মন্ডলের মাধ্যমে ১৯ হাজার টাকা নিয়েছি। ব্যাপারটি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওছার হাবীব জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য ভূমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।