রোহিঙ্গাদের সহায়তায় চলতি বছরে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১৩১৭ কোটি টাকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। নারী ও শিশুসহ ৯ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মানবিক সংকট মোকাবিলায় যৌথ কার্যক্রম পরিকল্পনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার এ ঘোষণা দেয় দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রধান দাতাদেশ হিসাবে নৃশংসতার শিকার ও সংকটাপন্ন অন্যান্য নাজুক মানুষদের জন্য সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এ অর্থ সহায়তা নিয়ে ২০১৭ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত মানবিক সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াল ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের ভেতরে পরিচালিত কার্যক্রমে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশের ওপর যে ব্যয়ভার ও দায়িত্ব এসে পড়েছে, সেগুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবগত। এ অঞ্চলের যেসব দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ১ ফেব্রুয়ারি বার্মার সামরিক অভ্যুত্থান ও বর্বরোচিত সামরিক অভিযান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকার বজায় রাখবে।
এ অভ্যুত্থানের বহু হোতা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর সঙ্গে জড়িত। তারা আগের বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার জন্য দায়ী। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অভ্যুত্থান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার উদ্যোগে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনমত গঠনের চেষ্টা চলবে। মিয়ানমারের ভেতরে সংকটে থাকা মানুষদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব অব্যাহত থাকবে।