বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলের অন্যতম সদস্য ডি মারিয়া। তার কলকাতা ও ঢাকা সফরে আসার সম্ভাব্য সূচি ছিল জুলাইয়ের শেষের দিকে। সেই সূচি পরিবর্তন হয়েছে। জুলাই-আগস্ট নয়, চলতি বছরের অন্য কোনো সময়ে আসবেন আর্জেন্টাইন এই ফুটবলার।
ভারতের ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত কলকাতা থেকে বলেন, ‘ডি মারিয়ার সঙ্গে আমার চুক্তি রয়েছে। সে আসবে এবং এই বছরেই আসবে এটা নিশ্চিত। আর্জেন্টিনা ও তার পূর্ণ মনোযোগ কোপা নিয়ে। আমি জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে আর্জেন্টিনা যাব। তখন তার ঢাকা ও কলকাতার সফরসূচি চূড়ান্ত করব।’ ডি মারিয়া জাতীয় দলে খেললেও আসন্ন মৌসুমে ক্লাব চূড়ান্ত করেনি। তাই সেটিও একটি বিষয়, ‘ডি মারিয়া তার ক্লাব এখনো ফাইনাল করেনি। ক্লাবের ফাইনালের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর ছিল ডি মারিয়া মোহনবাগান দিবসে আসবেন। ঢাকার সঙ্গে কলকাতা সফরও পিছিয়েছে, ‘মারিয়া একবারই আসবেন। দুই বার আনা ব্যয়বহুল। জুলাইয়ের শেষের দিকে বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে যেতে পারেন। আগস্ট বাংলাদেশের শোকের মাস। তাই ঢাকার আর্জেন্টিনার দূতাবাস পরবর্তী সময় আনার পরামর্শ দিয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে ঢাকা ও কলকাতা আনার পরিকল্পনা আছে। কোপা শেষের পরই এটি ঠিক হবে।’
শতদ্রু দত্তের মাধ্যমে ঢাকায় আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়েনো মার্টিনেজ ও ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী রোনালদিনহো এসেছিলেন। দুই সফরই ছিল নানা কারণে বিতর্কিত। তাই মারিয়ার সফর একটু পরিচ্ছন্নভাবেই করতে চান, ‘ডি মারিয়া সফরে সাংবাদিকদের জন্য আলাদা সেশন, ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আলাদা সেশন এবং অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মারিয়ার সৌজন্য সাক্ষাতের বিশেষ পর্ব থাকবে। এসব নিয়ে আমি কাজ করছি। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছি।’
শতদ্রু দত্ত কলকাতায় ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনাকে এনেছিলেন। এবার চেষ্টা করছেন মেসিকে আনার। সবর্কালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসির আগমন সম্পর্কে বলেন, ‘আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে মেসির ইন্টার মিয়ামীর হয়ে চীনের সফর করবে। সেই সফরের সময় দেড় দিন সময় বের করে ঢাকা ও কলকাতা সফরের পরিকল্পনা চলছে। মেসির বাবার সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে। সামনে আরো আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। আমি আশাবাদী সে ঢাকা ও কলকাতায় আসবে।’